ময়মনসিংহের ত্রিশালে ঢাকা – ময়মনসিংহ মহাসড়কের ত্রিশাল উপজেলার দরিরামপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এপার ওপারে ত্রিশাল হতে ময়মনসিংহ যাওয়া এবং ত্রিশাল হতে ঢাকায় যাওয়া যাত্রীদের জন্য কোন যাত্রী ছাউনি না থাকার কারণে মারাত্মক দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে চলাচলকারী যাত্রীদের।
প্রতিদিন প্রখর রোদ কিংবা হঠাৎ বৃষ্টিতে মারাত্মক সমস্যায় পড়তে হয় যাত্রীদের। বৃষ্টিতে ভিজে রোদে পুড়ে সড়কের পাশে খোলা আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করতে হয় । এতে প্রতিদিন শতশত নারী পুরুষ ও শিশুরা দুর্ভোগের স্বীকার হন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কের ত্রিশাল দরিরামপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে গন্তব্যস্থল দেশের বিভিন্ন স্থানে যাওয়াার জন্য শতশত নারী পুরুষ দূরপাল্লার যানবাহনের জন্য অপেক্ষা করছে। তাদের মধ্যে অধিকাংশ যাত্রী জেলার নান্দাইল, ঈশ্বরগঞ্জ, ফুলবাড়িয়া ও ত্রিশাল উপজেলার। এছাড়াও অন্যান্য জেলা উপজেলার কর্মজীবী লোকজন গার্মেন্টস শ্রমিক, সরকারি চাকুরিজীবী,সাধারণ মানুষ কর্মস্থলে যাওয়ার জন্য বাসস্ট্যান্ড মোড়ে খোলা আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করেন।
যাত্রীরা পাশের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনে দাঁড়িয়ে থাকলে দোকানীরা চরম বিরক্তবোধ হন। যার কারণে তাদের গন্তব্য স্থলের গাড়ি আসলে রোদ-বৃষ্টির মধ্যেই ছোটাছুটি করে তারা গাড়িতে ওঠে। জীবনের ঝুকি নিয়ে এভাবে ছোটাছুটির ফলে অনেক সময় যাত্রীরা দুর্ঘটনার শিকার হন। ভুক্তভোগী যাত্রীরা দরিরামপুর বাসস্ট্যান্ড মোড়ের সড়কের দুপাশে দুইটি যাত্রী ছাউনি নির্মাণের দাবি জানান। দরিরামপুর
বাস স্ট্যান্ড মোড়ের সড়কে ভোগান্তী নিয়ে যাত্রী আবুল হোসেনের সাথে কথা বললে আবুল হোসেন বলেন, আমি নান্দাইল থেকে এসেছি। পরিবারের লোকজন নিয়ে ঢাকায় যাব, ঘন্টাখানের সময় দাঁড়িয়ে আছি বসার কোন জায়গা নাই! বাস যাত্রী আমিনুল বলেন পরিবারের সদস্যদের নিয়ে সীমাহীন কষ্ট করে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছি। ত্রিশাল উপজেলা সদরের অটো রিক্সাচালক কামাল হোসেন বলেন এই বাসস্ট্যান্ডে বৃষ্টির সিজনে যাত্রীদের অনেক কষ্টের শিকার হয়ে থাকে। নারী-পুরুষ যাত্রীরা অনেক সময় দোকানের পাশে দাঁড়িয়ে থাকে। গাড়ি আসলে দৌড়ে বৃষ্টির পানিতে ভিজে গাড়িতে উঠেন।এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ত্রিশাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল বাকিউল বারী জানান, পৌরসভা থেকে একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অতি শীঘ্রই বাসস্ট্যান্ড এলাকায় একটি যাত্রীছাউনি নির্মাণ করা হবে