ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের (মমেক) হোস্টেলের শিক্ষার্থী শরীফা ইয়াসমিন সৌমার (২০) রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। এ সময় তার কক্ষ থেকে ৪ থেকে ৫ পৃষ্ঠার একটি সুসাইডনোট, ইঞ্জেকশন ও সিরিজ উদ্ধার করা হয়। এনিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে মেডিকেল কলেজের ভেতরে বাইরে।
মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) দুপুর পৌনে ২টার দিকে মমেক হোস্টেলের ৩১১ নম্বর কক্ষে এই মৃত্যুর দুর্ঘটনা ঘটে।
মৃত শরীফা ইয়াসমিন সৌমা ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের এমবিবিএস তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি খুলনা জেলার খালিশপুর চরের হাট এলাকার বাসিন্দা মো: তায়েদুর রহমানের মেয়ে।
মমেক হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) মো: শফিক উদ্দিন খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে মাত্রাতিরিক্ত ইনঞ্জেকশন নেওয়ার কারণে এই শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। তবে কেন বা কী কারণে এই ঘটনা ঘটেছে, তা এখনো জানা যায়নি।
তবে ঘটনার বিষয়ে মুখ খুলছেন না মৃত শরীফা ইয়াসমিন সৌমার সহপাঠীরা। তাদের জানতে চাইলে তারা বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে বলেন, এনিয়ে আমরা কোন মন্তব্য করতে চাই না।
মৃতের বড় ভাই প্রকৌশলী মো: মাহাবুবুর রশিদ সাংবাদিকদের বলেন, আমার বোন হোস্টেলে থেকে এমবিবিএস পড়ছিল। কিন্তু কেন তার এই মৃত্যু আমরা কিছু জানি না, বলেই তিনি কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।
তবে মৃত শরীফা ইয়াসমিন সৌমা সুসাইডনোটে কী লিখে গেছেন, তা এখনো জানা যায়নি। বর্তমানে তার মৃতদেহ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন এসআই)মো: শফিক উদ্দিন।