মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ০৩:৩৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তঃ বিভাগ ও আন্তঃ অনুষদ মিনিবার ফুটবল প্রতিযোগিতার উদ্বোধন আজকের মেধাবী শিক্ষার্থীদের কেই ভবিষ্যত বাংলাদেশ বিনির্মানে কাজ করতে হবে। ডাঃ মাহবুবুর রহমান লিটন নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী সা. উপলক্ষে পুরস্কার বিতরন অনুষ্ঠিত ময়মনসিংহে প্রান্ত স্পেশালাইজড হসপিটালের ১১তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে মাছের পোনা অবমুক্তকরণ কর্মসূচির উদ্বোধন কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন নাটক “মদিনার বিষাদ” ময়মনসিংহের নটরডেম কলেজে বিজ্ঞান প্রযুক্তি ও শিক্ষা মেলা অনুষ্ঠিত ময়মনসিংহে মৃত নারীকে ধর্ষণ করেছে লাশ বহনকারী আবু সাঈদ ময়মনসিংহে পরিবহন শ্রমিকদের ধর্মঘট সারাদেশের সাথে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন,জন দুভোর্গ

সি বি এম সি হাসপাতালে সিকিউরিটি গার্ড কর্মচারীদের বেতন প্রদানে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ

রফিকুল ইসলাম শামীম
  • আপডেটের সময়: সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
  • ১০৬ সময় দেখুন

ময়মনসিংহের চোরখাই উনাইরপাড়ে প্রতিষ্ঠিত বেসরকারী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল কমিউনিটি বেজড মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সিকিউরিটি গার্ড ও অন্যান্য (নিন্ম → নিম্ন) শ্রেনীর শ্রমিক নিয়োগ দিয়ে তাদের বেতনাদি প্রদানে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে সাবিনা সিকিউরিটি সার্ভিস প্রাঃ লিঃ এর বিরুদ্ধে

সাবিনা সিকিউরিটি সার্ভিস প্রাঃ লিঃ নামে একটি সিকিউরিটি প্রতিষ্ঠানের সাথে কমিউনিটি বেজড মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে ২০১৯ সালে একটি চুক্তি হয় সিকিউরিটি গার্ড ও অন্যান্য  নিম্ন শ্রেনীর শ্রমিক নিয়োগ প্রদান করে হাসপাতালের কার্য পরিচালনার জন্যে। সেই চুক্তি অনুযায়ী সাবিনা সিকিউরিটি সার্ভিস প্রাঃ লিঃ সিকিউরিটি গার্ড ও অন্যান্য নিম্ন শ্রেনীর শ্রমিক নিয়ে মোট ২৫০ জনকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ প্রদান করেন।

কমিউনিটি বেজড মেডিকেল কলেজও হাসপাতালের সিকিউরিটি গার্ড ও অন্যান্য  নিম্ন শ্রেনীর আয়া, ক্লিনার শ্রমিকদের অভিযোগে জানা যায় ২০১৯ সালে চুক্তির প্রথম মাস হতেই এই সিকিউরিটি কোম্পানীর এমডি মোঃ সোলেমান ও তার দায়িত্বপ্রাপ্ত লোক নিয়োগকৃত এসব নিম্ন শ্রেনীর কর্মচারীদের ধার্যকৃত বেতনাদি হতে প্রায় অর্ধেকে বেতন প্রদান, জোড় পূর্বক চাকরী চ্যুতির ভয় দেখিয়ে ৮ ঘন্টার ডিউটির জায়গায় ১২ ঘন্টা কাজ করিয়ে নিয়ে ও স্বেচ্ছাচারিতা ও অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে প্রতি মাসে নামে মাত্র বেতনাদি প্রদান করায় এসব অসহায় সিকিউরিটি গার্ড, আয়া, ক্লিনার সহ নিম্নমানের কর্মচারীরা মানবেতর জীবন যাপন করছে।

জানা যায় মানব সম্পদ অধিদপ্তরের নিয়ম  অনুযায়ী প্রতিটা শ্রমিকের প্রতিদিন কর্মসময় প্রতিদিন ৮ ঘন্টা নির্ধারিত রয়েছে। কিন্তু ময়মনসিংহের চোরখাই উনাইয়ের পাড়ে প্রতিষ্ঠিত কমিউনিটি বেজড মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাবিনা সিকিউরিটি সার্ভিস লিঃ এর এমডি মোঃ সোলেমান কোন নিয়মের তোয়াক্কা না করে তার নিয়োগকৃত কর্মচারীদের ৮ ঘন্টার জায়গায় ১২ ঘন্টা কাজ করিয়ে নিলেও স্বেচ্ছাচারিতা অনিয়ম দুর্নীতি করে শ্রমিকদের বেতনের অর্ধেক প্রদান করছেন বলে সিকিউরিটি গার্ড ও  নিম্ন শ্রেনীর কর্মচারীরা অভিযোগ করেছেন।

শ্রমিকরা আরো জানান এ ঘটনায় বার বার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এর কাছে অভিযোগ করলেও কর্তৃপক্ষ কোনো সুরাহা না করে বরং এটা সিকিউরিটি কোম্পানীর ব্যাপার বলে তাদের উপর এ অমানবিক কার্যক্রমে আরো উৎসাহ প্রদান করে যাচ্ছে।

এ ব্যাপারে কমিউনিটি বেজড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্মরত সিকিউরিটি গার্ড বৃদ্ধ শাহজাহান খান জানান – মাসে মাসে তারিখে তারিখে আমার বেতন থেকে টাকা কাইটা নেয়। এক মাসে আমি অসুখে পড়ে ৩ দিন ডিউটিতে আসতে পারি নাই এই কারনে কোম্পানীর লোক আমার মাসের বেতন থেকে সাড়ে সতের শ টাকা কাইটা নিছে। আরেক মাসে আমার বেতন হইতে সাড়ে ৯শ টাকা কাইটা নিছেগা কোম্পানীর লোক। এই টাকা নেয়ার কথা গুলো আমি এক দিন কোম্পানীর এমডি মোঃ সোলেমান স্যারকে জানাতে গেলে তিনি আমার কোনো কথা না শুনে দূর দূর করে তাড়িয়ে দিয়েছে।

তিনি আরো বলেন হাসপাতাল আমাদের বেতন ধরেছেন ৯ হাজার টাকা, কাজ হলো ৮ ঘন্টা, আমাদের সিকিউরিটি কোম্পানী জোড়পূর্বক ১২ ঘন্টা কাজ করিয়ে বেতন দেয় সাত হাজার টাকা, তার থেকে এই অজুহাতে সেই অজুহাতে আমাদের সকলের কাছ থেকেই ১ হাজার দেড়হাজার, ২ হাজার বা তার চাইতে বেশী টাকাও কাইটা নিয়া যাই। এই  বৃদ্ধ বয়সে ও আমাকে ৮ ঘন্টার কাজ ১২ ঘন্টা করতে হইতাছে। তার পরও যদি জুলুম কইরা প্রতি মাসে টাকা কাইটা নেয় তাইলে এই বয়সে আমরা পরিবার পরিজন নিইয়া কিভাবে খাই চিকিৎসা করি বাইচা  কিভাবে থাকি। আমাদেরও তো বাইচা থাকবার অধিকার আছে, যতো ছোট কাজই করি, পরিশ্রম তো করি, কাজ করে ন্যায্য বেতন পাওয়া অধিকার তো আছে।

সিকিউরিটি গার্ড লালু মিয়া জানান – আমাদের রোজার ঈদের বোনাস দেয়ার কথা বেতনের অর্ধেক, তা দেয়নি। ৮ ঘন্টা ডিউটি করলে ৫ হাজার টাকা দেয়, ১২ ঘন্টা করলে ৭ হাজার টেহা দেয়, আবার বিভিন্ন সময় বেতন কেটে নেয় সোলেমান, কিছু বলতে গেলে দূর ব্যবহার করেন। ২ বছর ধরে কোন প্রকার পোশাক ও অন্যান্য সরনজামাদি তিনি দেন না, পুরাতন জিনিস ব্যবহার করতে হয়। কিছু বলতে গেলেই দূর ব্যবহার করে চাকরী খাওয়ার হুমকি দেয়, চাকরী যাওয়ার ভয়ে কিছু বলতেও পারি না। আবার কম বেতনে না খেয়েও থাকতে হয়।

এ ব্যাপারে সাবিনা সিকিউরিটি কোম্পানীর দায়িত্বপ্রাপ্ত আরেক কর্মচারী (যিনি বেতন প্রদান করে থাকেন) আব্দুল আজিজ জানান – বর্তমানে হাসপাতালের দায়িত্বরত সিকিউরিটি গার্ড কে মাসে ৭ হাজার টাকা দেয়া হয় আর আয়া ও ক্লিনারদের প্রতিমাসে ৪ হতে ৫ হাজার টাকা দেয়া হয়। বাকী টাকা সাবিনা সিকিউরিটি সার্ভিস এর এমডি মোঃ সোলেমান সাহেব নিয়ে থাকেন। তিনি আরো বলেন আমি এই হাসপাতালের শুরু হতে কাজ করছি। এই গরীব মানুষদের ভালো করার চেষ্টা করি কিন্তু কি করবো কোম্পানীর ব্যাপার, তারা ঠিক মতো বেতন না দিলে আমার কি করার আছে।

সরেজমিনে অনুসন্ধান করে  জানা যায় কমিউনিটি বেজড কলেজ ও হাসপাতালে নিম্ন শ্রেনীর সিকিউরিটি গার্ড, আয়া, ক্লিনার দের ২৫০ জন এর প্রতিজনের সাথেই এমন অন্যায় ও অবিচার করে কোম্পানীতে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে, এসব দেখার যেনো কেউ নেই। ভোক্তভোগী এই সব গরীব নিম্ন শ্রেণীর কর্মচারীরা ঘটনার সঠিক তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে তাদের জীবনে একটু  স্বস্তি ফিরিয়ে আনার দাবী জানিয়েছেন।

অনুগ্রহ করে এই পোস্টটি আপনার সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন।

এই বিভাগের আরও খবর
© All rights reserved © 2025 প্রতিদিন সংবাদ
ESAITBD Sof-Lab UAE/BD